২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
২৫ জানুয়ারি, ১৯৭০
৭ মার্চ, ১৯৭১
২০ মার্চ, ১৯৭১
২০২০ সালে
২০২২ সালে
২০২৪ সালে
২০২৫ সালে
৭ মার্চ , ১৯৭১
১২ মার্চ, ১৯৭১
১৫ মার্চ , ১৯৭১
১৯ মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম ও পরিচয়:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুরের গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর তীরে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার ডাকনাম ছিল রেনু।
৯৭তম
৯৮তম
৯৯তম
৯৬তম
শিশু দিবস
অটিজম দিবস
পরিবেশ দিবস
জাতীয় টিকা দিবস
১০১
১০২
১০৩
১০৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শিক্ষা জীবনঃ
১৯২৭ সালে বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের গিমাভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র জীবন শুরু করেন ৭ বছর বয়সে। পরবর্তীতে মাদারীপুর ইসলামীয়া হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষে ১৯৪২ সালে কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ২৪ নং বেকার হোস্টেলে থাকতেন। স্মৃতি স্মরণার্থে বর্তমানে বেকার হোস্টেলের ২৩ নং রুমকে গ্রন্থাকার এবং ২৪নং রুমকে মিউজিয়াম বানানো হয়েছে। ১৯৪৭ সালে তিনি কলকাতা ইসলামীয়া কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস বিভাগ থেকে বি. এ. পাশ করার পর একই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এসময় তার বিশ্ববিদ্যালয়ে রোল নম্বর ছিল ১৬৫।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ১৯৩৯ সালে গোপালগঞ্জ মুসলিম ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের পর ১৯৪৫ সালে ইসলামীয়া কলেজ থেকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামে পরিচিত।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাঃ
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনে শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। ১৯৫৩ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যতম। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের সর্ব কনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে কৃষি-সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন।
মুসলিম শব্দ বাদঃ
১৯৫৫ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালেই তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
৬ দফা উত্থাপনঃ
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, বাঙালি জাতির ম্যাগনাকার্টা হিসেবে খ্যাত ৬ দফা দাবী পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে ২৩ মার্চ ছয় দফা দাবী উপস্থাপন করেন।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনঃ
১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে যথাক্রমে ১৬৭ ও ২৯৮ টি আসনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেন। পাকিস্তানি সরকারের টালবাহানায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান করার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু করেন।
গ্রেফতার ও স্বাধীনতার ঘোষণাঃ
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত বা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করার কিছু পরেই রাস্ত ১:১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের মিয়ানওয়ালী কারাগারে নিয়ে যায়। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে পাক হেফাজতে থাকা বঙ্গবন্ধুকে অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।
কারাভোগঃ
বঙ্গবন্ধু তার ৫৬ বছরের জীবনে ২১ বারে ১৪ বছর কারা ভোগ করেন যা দিনের হিসেবে ৪ হাজার ৬৮২ দিন। উল্লেখ্য যে, তিনি পাকিস্তান আমলে ৪ হাজার ৬৭৫ দিন জেলে ছিলেন । প্রথম কারা ভোগ করেন ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ শাসন আমলে ৭ দিন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনঃ
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ইংল্যান্ড ও ভারত সফর করে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১০ জানুয়ারিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বলা হয়।
১০ জানুয়ারি, ১৯৭২
১০ মার্চ, ১৯৭২
১০ ডিসেম্বর, ১৯৭২
২৫ মার্চ, ১৯৭২
বঙ্গবন্ধুর ও জাতির জনক উপাধিঃ
বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান করেন তোফায়েল আহমেদ - ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। পরবর্তীতে জাতির জনক উপাধি প্রদান করেন- আ.স.ম আব্দুর রব ৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে পল্টন ময়দানে। ১৯৭১ সালে ৫ এপ্রিল নিউজ উইক সপ্তাহিক ম্যাগ্যাজিন বঙ্গবন্ধুকে Poet of Politics বা রাজনীতির কবি হিসেবে আখ্যায়িত করে।
Read more